Sherlock TV series BBC One (আধুনিক শার্লক হোমস)


শার্লক BBC One এর একটি সিরিজ যেখানে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এর শার্লক হোমস গোয়েন্দা গল্পের ভিন্ন একটি আপডেট প্রদর্শন করা হয় ।এখানে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ’ শার্লক হোমস চরিত্রে এবং মার্টিন ফ্রিম্যান’ ডাক্তার জন ওয়াটসন হিসেবে অভিনয় করেন । ‘আনব্রডকাস্ট পাইলট’ ২০০৯ এর পর তিনটি ৯০ মিনিটের সিরিজের প্রথম পর্বগুলি প্রথমে বিবিসি ওয়ান ও বিবিসি HD তে ২০১০ এর জুলাই এবং আগস্ট মাসে এবং দ্বিতীয় সিরিজ শুরু হয় এক বছর বিরতি দিয়ে আবার ২০১২ সালের প্রথম মাসে । তৃতীয় সিরিজ যথাসম্ভব ২০১৩ থেকে শুরু হওয়ার কথা । অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে সিরিজের দুটো সিজনই ১৮৫ টা দেশের বিভিন্ন টেরিটরিতে বিক্রি হয়েছে ।

সিরিজের উদ্ভাবক স্টিভেন মোফাট এবং মার্ক গ্যাটিস“ডক্টর হুর” প্রোডাকশনের সময় ট্রেন জার্নিতে আধুনিক শার্লক নিয়ে ভেবে রেখেছিলেন । সহনির্মাতা Hartswood ফিল্মস বিবিসি জন্য সিরিজ প্রযোজনা এবং WGBH বস্টন তার সঙ্গে মাস্টারপিস সিরিজের জন্য প্রযোজনা করেন । লন্ডনের Merthyr, Tydfil,Swansea,Dartmoor সহ আরো বিভিন্ন অবস্থানে চিত্রধারন স্থান নিয়েছে । অন্যান্য ক্যাস্ট সদস্যদের মধ্যে রুপার্ট গ্রেভস ‘দ্বি গ্রেগ ল্যাস্ট্রেড’ হিসাবে, অ্যান্ড্রু স্কট জেমস মরিয়ার্টি’ হিসাবে, মার্ক গ্যাটিস ‘মাইক্রফট হোমস’ হিসাবে, এবং উনা স্টাবস ‘মিসেস হাডসন’ হিসাবে, সেই সাথে ভিন্সেন্ট রবিনসন এবং লুয়িস ব্রিলে ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।




একটা মানুষের বাহ্যিক আবরণ দেখে ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে কতটুকুই বা ধারণা করা যেতে পারে? খুব বেশি নয় । এটা হয়তো বলা যায় অন্য ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে কিন্তু এখানে সাবজেক্ট হচ্ছে শার্লক । যার ইন্টালেকচুয়াল পাওয়ারই তাকে অতিমানবীয়ভাবে গড়ে তুলেছে । যার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এতই বেশি যে কাউকে রিড করতে দু সেকেন্ডের বেশি সময় লাগেনা । শার্লকের দু সেকেন্ডের পর্যবেক্ষণের এক্সপ্লেইন হতে পারে ছয় সাত মিনিট ।
221 B বেকার স্ট্রিট, মিসেস হাডসন, ডাঃ ওয়াটসন, মাইক্রফট, মোলি হুপার, জেমস মরিয়ার্টি সবই ঠিক আছে । তাহলে ব্যাতিক্রম কী?
ব্যাতিক্রম হচ্ছে কাহিনী এবং চারিত্রিক সংযোজন । মোটেও ভাববেন না যে এই সেই রাশভারী পাইপ টানা চিন্তা ভাবনার বোঝায় কপাল কুঁচকে থাকা শার্লক হোমস । বরং বুদ্ধিদীপ্ত সুপ্ত প্রতিভার এক তরুণ এবং মডার্ণ শার্লক হোমস । যার আছে একাধিক বিষয়ে জ্ঞান , সূক্ষ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং কিছু প্রযুক্তিগত দক্ষতা । যার সুপারভিশন পাওয়ার এতো বেশি যে সামান্য একটা চুল ও নজর এড়ায় না । একটা মানুষকে দৃষ্টি দ্বারাই পোস্ট মোর্টেম করে ফেলতে পারে শার্লক এবং তার জন্য সময় লাগে দু থেকে তিন সেকেন্ড মাত্র ।



এই সিরিজের কয়েকটি প্রধান চরিত্র যারা সবসময়ই কমন থাকে ----

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যবলী__


শার্লক হোমস (বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ) :শার্লক হোমসের এর পেশা হল তিনি বিশ্বের শুধুমাত্র "কনসাল্টিং গোয়েন্দা"।একটি অস্বাভাবিক বা উদ্ভট অপরাধের মধ্যে উত্সাহ দেখানো মাত্রই যিনি দ্রুত হয়ে ওঠেন এক্টিভ, নির্ভর করেন নিজের বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিষ্কের উপর এবং দ্রুত মস্তিষ্কের কোষগুলো, নিউরন-সিনাপ্স গুলো 'সক্রিয়' হয়ে ওঠে । শার্লক একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং একজন পর্যবেক্ষক । তার ক্ষমতা এবং মনোযোগ আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ বিবরণ, অনুপম এবং অপরাধের তদন্তের পরিস্ফূট প্রধান হাতিয়ার হয় । যাই হোক, তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সরকারি আরক্ষাবাহিনী তাকে অনভিলাষী অনেক কিছুতেই চালিত করেছে । শার্লক রাজ্যে যে তিনি একজন সুপার হিরো ।ঘটনার জটিলতায় যখন কোনো ক্লু ই কাজ করেনা তখন কাজ করে তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি । ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, কথাবার্তার মাঝখানে অতি সাধারণ কিছু একটা তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা মনে করিয়ে দিয়েছে; তখনই শার্লকের চিরচেনা মুচকি হাঁসির আবির্ভাব ঘটে । তাঁর একটা মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে মাইন্ড প্যালেস টেকনিক । একটা মেন্টাল ম্যাপ; যেখানে শার্লক ব্রেইন স্টর্মিং করে অতি সূক্ষ্ম এবং নগন্য কিন্তু ঘটনার আসল ক্লু গুলো পেয়ে যান । শার্লকের কিছু অদ্ভুত আচার আচরণের জন্য ক্লায়েন্টরা প্রথম অবাক বনে যান কিংবা মনে মনে তাঁকে পাগল ঠাউরান । পরক্ষণেই তাদের ভুল ভাঙ্গে রেল গাড়ির মত অনর্গল দ্রুত চলতে থাকা কিছু বিশদ বিবরণ শুনে । যা তাদের চোখ কে কপাল পেরিয়ে চাঁদিতেও তোলে ফেলে । Belgravia তে শার্লক কে দেখা যায় বিশাল বড় এবং জটিল একটা কোড কয়েক সেকেন্ডেই ভেঙ্গে দিতে । এখানে একটা জিনিস খুবই সুন্দর লেগেছে যে শার্লকের পর্যবেক্ষণ গুলো রিড করা যায় কিংবা ট্রেস করা যায় । মোদ্দা কথা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে ।

“এ চরিত্রে অভিনয় করা বেনেডিক্ট গত বছরের দুটি মুভিতে অভিনয় করেন । যদিও তেমন কোনো আহামরি চরিত্র নয় তারপরও মুভি দুটোই অস্কার নমিনেশন পেয়েছে । একটি হচ্ছে ‘Tinker Tailor solder Spy’ এবং অপরটি ‘War Horse’।


ডঃ ওয়াটসন (মার্টিন ফ্রিম্যান) : Hound of the Baskerville এ শার্লক "মন্তব্য করেন যে তার "কোনো ফ্রেন্ডস নেই – শুধু আছে ফ্রেন্ড; জন ওয়াটসন। ওয়াটসনের চরিত্রটি এখানে দারুণভাবে ফুটে ওঠেছে । সিরিজের প্রথম পর্বে তাঁকে একটু খোঁড়াতে দেখা যায়, যা একজন সোলজারের প্রাপ্য এবং যুদ্ধের স্মারক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় । প্রথম যখন শার্লকের সাথে ওঁর পরিচয় ঘটে তখন থেকেই মনে একটা কৌতূহল সৃষ্টি হয়; এই অদ্ভুত লোকটি সম্পর্কে তাঁকে জানতেই হবে । পরে একটি তদন্তে ওয়াটসন শার্লক কে এ্যসিস্ট করে । এভাবেই সাদামাটা ডাক্তারটি অদ্ভুত লোক এবং তার কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ে । ডঃ ওয়াটসন শার্লকের একজন ভালো বন্ধু কিংবা এ্যসিস্টেন্টই নয় শুধু বরং একজন ভালো ডাক্তার, ভালো পরামর্শদাতা, নির্লোভএবং অন্ধের যষ্টি । অন্ধের যষ্টি এজন্য যে_ যখনই শার্লক কোনো বিপদে পড়েছে সবার আগে ওয়াটসনই দৌড়ে গিয়েছে । শার্লকের কার্যপদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকসময় তিনি নিজেই অনেক কিছু সল্ভ করে ফেলেছেন । মাইক্রফট যখন তাঁকে একটা লোভনীয় প্রস্তাব দেয়_ এই মূল্যে যে শার্লকের সঙ্গ যদি ছেড়ে দেয়া হয় তবে মাইক্রফট তাঁকে মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ প্রদান করবে। ওয়াটসনের মত আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত যে কেউ তা সানন্দে গ্রহণ করে ফেলতো । কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা রিজেক্ট করেন । ইভেন অনেকে বলেছে শার্লক একজন সাইকো তার সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য । এমনকি তাঁকে থ্রেট দেওয়ার পরও তিনি থেকে যান শার্লকের সঙ্গে । ‘আমার মনে হয় এখানে তাঁর একটা ব্যাক্তিগত জেদ কাজ করেছে’। যদিও ওয়াটসনের শার্লকের মত ইন্টেলেকচুয়াল কোনো পাওয়ার নেই তবে ভার্চুয়াল জগতে তিনি শার্লকের মতই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত একজন ব্যাক্তি । সেটা হচ্ছে ব্লগিং । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তাঁর ব্লগ থেকে জেনে যায় কোনো একটা ক্রাইম ইভেন্ট এবং শার্লক কিভাবে তার সমাধান করেছে । অনেক উচ্চ পর্যায়ের লোকজনও ওয়াটসনের ব্লগের ভক্ত । মূলত ওয়াটসনের ব্লগের জন্যই শার্লক এতো বিখ্যাত হতে পেরেছেন ।

“ডঃ ওয়াটসন চরিত্রে অভিনয় করা‘মার্টিন ফ্রিম্যান’ আসছেন ‘Lord Of The Rings’ চলচিত্রের প্রিক্যুয়াল ‘The Hobbit’ এ বিলবো ব্যাগিন্সের চরিত্র নিয়ে” ।


জেমস মরিয়ার্টি (অ্যান্ড্রু স্কট) :শার্লকের ভাষ্যমতে _
‘Jim Moriarty is not a man at all; he’s a spider. A spider at the center of the web, a criminal web with a thousand threads. And he knows precisely how each & every single one of them dances’.

শার্লক যেমন কনসাল্টিং ডিটেকটিভ তেমনি মরিয়ার্টিও কনসাল্টিং ক্রিমিনাল । শার্লকের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী । মরিয়ার্টি দৌরাত্ন্যে শার্লক কে একের পর এক জটিল সব কেইস নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হয়েছে । সে চেয়েছিলো শার্লককে নিয়ে খেলতে এবং এই খেলায় মোটামুটি সে শার্লকের সমপর্যায়ে কিংবা কিছু ক্ষেত্রে সে শার্লককেও হারিয়ে দিয়েছে । ‘এখানে জেমস মরিয়ার্টিকে দেখে আমার ডার্ক নাইটের সেই জোকার চরিত্রটির কথাই মনে পড়ে’ । প্রথম প্রথম সে নিজে থেকে শার্লকের মোকাবেলা করতে আসতো না । সে কাউকে পোষণ করতো শার্লকের বিরুদ্ধে খেলার জন্য । অতি সূক্ষ্মভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে সে তার গুটির চালান দিত । প্রথম দুটি পর্বে মরিয়ার্টি কে দেখা যায় নি । তবে সে পরোক্ষভাবে শার্লকের সঙ্গে লড়েছে এবং প্রতিবারই হেরেছে । অবশেষে প্রথম সিরিজের তিন নাম্বার পর্ব ‘দ্যা গ্রেট গেম’ এ সে শার্লকের সামনে এসে দাঁড়ায় ।
‘কাম উইথ মি’ খেলতে চাইলে মাঠে আসো । একজন দক্ষ ভিলেন ছাড়া কোনো গল্পই ফেয়ার হয় না। আমি আর তুমি একই, আমাদের লক্ষ্যও এক । কারণ আমি ছাড়া তুমি শূন্য; “You need me. Except you are boring, you are on the side of the angel”.মরিয়ার্টি মূলত একজন সাইকো টাইপের । সে যা করে তা কোনো কারেন্সি কিংবা ক্ষমতার জন্য নয় । কারণ সে প্রমাণ করতে চায় যে, সে যা চায় তাই করতে পারে । সে চায়ই পুলিশ তাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজুক কিংবা শার্লকের মত আরো দু চারজন ডিটেকটিভ তাকে নিয়ে মাথা ঘামাক । টাওয়ার অফ লন্ডনের প্রত্যেকটা সিকিউরিটি কোড সে ভেঙ্গে দেয় । কিন্তু তাদের ভোল্টে রক্ষিত কোনো কিছুই সে প্রিডেট করেনা । সে ইচ্ছে করলে কয়েকটা কম্পিউটার ক্যাবলের সংযোগে পৃথিবীর যে কোনো ডোর ওপেন করতে পারে । নিউক্লিয়ার কোড, ন্যাটো, নাসা যাই হোক না কেনো পৃথিবীর যে কোনো কোড আলফাবিটেক্যালি ব্রেক করে দিতে পারে । এ সবই সে করে শুধুমাত্র শার্লক কে হারানোর জন্য । সে শার্লক কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, ‘I owe you a fall’। এবং এখানেই অপেক্ষা করছে পুরো সিরিজের সেরা চমকটি ।


মিসেস হাডসন (উনা স্টাবস) : শার্লক এবং ওয়াটসন 221B বেকার স্ট্রীট এ বসবাস করেন, যা মিসেস হাডসন থেকে ডিসকাউন্ট হারে রেন্টফুল । মিসেস হাডসন হচ্ছেন ওদের বাড়িওয়ালী । বাড়িওয়ালীর চেয়ে পরিচর্যাকারীর ভূমিকাই এখানে বেশি । হাডসন শার্লকের জামা কাপড় ওয়াশিং এবং খাদ্য তৈরীর মত তার চাহিদার অনেক যত্ন নেন । তার একটি কারণ হচ্ছে,তার স্বামীর একটা এক্সিকিউশন কেইসে শার্লক সাহায্য করেছিলো। শার্লককে নিজের একান্ত আপনজনের মতই ভালোবাসেন তিনি । বেলগ্রেভিয়াতে দেখা যায় শত্রুরা যখন মিসেস হাডসন কে কিডন্যাপ করে এবং শার্লকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসের জন্য তাঁকে টর্চারও করে তারপর ও তিনি মুখ খোলেননি । ডিভাইসটি কিন্তু তাঁর সাথেই ছিলো । মিসেস হাডসন অনেক কিছুই শার্লকের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন । যেমনঃ তাঁর মত ডিটেকটিভদের নরমালি যেরকম নানা সমস্যা এবং হুমকির মধ্যে পড়তে হয় তার প্রভাব কিন্তু সংশ্লিষ্টদের ওপরও কমবেশি পড়ে থাকে । সে ক্ষেত্রে একজন বয়স্ক ও বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে এ ধরনের ধকল সহ্য করা এবং কাটিয়ে ওঠা খুবই কঠিন । কিন্তু মিসেস হাডসন সেই কঠিন জিনিসটাই সহজভাবে সামলে নিয়েছেন।



মাইক্রফট হোমস (মার্ক গ্যাটিস) : মাইক্রফট শার্লক এর ভাই হলেও দুই জনের মধ্যে একটি পাথুরে সম্পর্ক বিরাজমান’ তবে তারা পরস্পরের শত্রু নয় । স্টাডি ইন পিঙ্ক এ মাইক্রফট মন্তব্য করেন যে তিনি কিংবা তাদের মত প্রফেশনাল ডিটেকটিভরা ওর তুলনায় আরো শক্তিশালী সার্চইঞ্জিন । তাদের উভয়ই টেক্সট কল পছন্দ করেন যখন তারা সরাসরি অন্যদের কথা বলতে পারেন না। শার্লক সফল হওয়ার আগ মুহূর্তেই নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি । নিজের সুনাম বৃদ্ধির জন্যই তিনি ভাইয়ের নিকট আসেন এবং সাহায্য প্রার্থনা করেন । শার্লকও তাঁকে পাত্তা দিতে চান না কিংবা সংক্রামকের মত সবসময় এড়িয়ে চলেন । এ রকম পরিবর্তনশীল সম্পর্ক সত্ত্বেও শার্লক এবং মাইক্রফট প্রতিটি কেইস ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে মনোযোগ এবং যত্ন দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে একে অপরকে সাহায্য করতে দেখা যায় । ব্যক্তিগত উচ্চ পর্যায়ের কেইসগুলো মাইক্রফট শার্লককে দিয়ে করাতেন এবং বিনিময়ে মাইক্রফট তাঁর উপর নিজস্ব উপায়ে দায়িত্ব পালনে তাঁকে এবং ওয়াটসনের ওপর একটি উচ্চ স্তরের সরকারী নিরাপত্তা ট্যাব স্থাপন করতেন। মাইক্রফটের সাহায্যে সাড়া দিয়ে শার্লক অনেক জটিল কেইসের সমাধান করেছেন এবং রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেন ।



এছাড়াও মূখ্য কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে আছে ‘মোলি হুপার’ ও ‘ল্যাস্ট্রেড’ যারা কমন চরিত্র এবং ‘আইরিন এডলার’ শক্তিশালী একটি চরিত্র । বর্ণনা বেশী বিস্তারিত হয়ে যাওয়ায় তাদের চরিত্রের কী পয়েন্ট গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি শুধু ।


মোলি হুপারঃ পোস্ট মর্টেম বিভাগে কাজ করেন । শার্লক প্রয়োজন পড়লে তাঁর ল্যাবের ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন । অনেক ক্ষেত্রেই মোলি তাঁকে সাহায্য করেছেন । শার্লকের প্রতি তার একটু দুর্বলতা আছে । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই শার্লকের স্বভাব চরিত্র দরুন তাকে অপদস্ত হতে হয়েছে ।


গ্রেগ ল্যাস্ট্রেডঃ মাইক্রফটের সহকারী গোয়েন্দা । শার্লকের পিছনে সে ছায়া হয়ে থাকে যার কারণে সে শার্লকের দু চোখের বিষ । গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর ল্যাস্ট্রেড শার্লকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তা শুরু করেন এভাবে যে, ল্যাস্ট্রেড স্বীকার করেন কিছু ক্রাইম ট্র্যাডিশন পুলিশ পদ্ধতিতে দ্রবীভূত করা যাবে না, এবং এক্ষেত্রে তার উপর কাউকে আনতে প্রয়োজন হলে তা একমাত্র শার্লক ।


আইরিন এডলারঃ স্ক্যান্ডাল ইন বেল্গ্রেভিয়াতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন আইরিন এডলার । পারসোনালি তিনি ‘দ্যা লেডি’ এবং প্রফেশনালি ‘ডোমিনেট্রিক্স’ নামে পরিচিত । পুরো পর্বটিতেই তিনি শার্লককে নাকানি চুবানি খাওয়ান । রহস্যের জোট খুলতে পারেন পর্বটির শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে । সম্ভবত আইরিন এডলারও শার্লকের প্রতি একটুখানি দুর্বল ছিলেন । এটাই শেষ পর্যন্ত শার্লকের কাজে লাগে । শার্লক বলেন, “Sentiment is a chemical defect found in the losing side” .


শার্লক টিভি সিরিজের ছয়টি পর্ব :

প্রথম সিজন Download Link
1. স্টাডি ইন পিঙ্ক
2. দ্যা ব্লাইন্ড ব্যাংকার
3. দ্যা গ্রেট গেম

দ্বিতীয় সিজন Download Link
1. আ স্ক্যান্ডাল ইন বেল্গ্রেভিয়া
2. দ্যা হাউন্ড অফ দি বাস্কারভিল
3. রেইকেনব্যাচ ফল



সমালোচনা ছিল অনেক লেখা, অভিনয় এবং দিকবিন্যাস মান নিয়ে । তারপরও সিংহভাগ পর্যালোচনাই ইতিবাচকতার রূপ পেয়েছে ।টিভি সিরিজটি BAFTAs এবং মুখ্য এমিস সহ আরো অনেক পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন বিভাগ জুড়ে নমিনেশন পেয়েছে । প্রথম সিরিজ BAFTA শ্রেষ্ঠ টিভি সিরিজের জন্য পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে । IMDB তে ভালো রেটিং পেয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি রেটিং পেয়েছে ‘স্ক্যান্ডাল ইন বেল্গ্রেভিয়া’ । সমস্ত ছয় পর্বের DVD এবং ব্লু-রে ডিস্কেও UK তে মুক্তি পেলো । টাই ইন সংস্করণের পাশাপাশি কোনান ডয়েল’ এর মূল বই থেকে কিছু অংশ নেওয়া হয়েছে । এছাড়াও প্রতিটি সিরিজ থেকে সঙ্গীতের অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে।
IMDB Link



লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ড্রামাক্রাইমমিস্টেরি ;
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...

0 comments: